অনলাইনে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয়ের সহজ উপায় সমূহ।।
এর আগে জেনে নেওয়া যাক ব্লগিং কি?
ব্লগিং হলো লেখালেখি করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম বা সাইট। একটি ব্লগ একটি অনলাইন জার্নাল বা তথ্য ওয়েবসাইট যা বিপরীত কালানুক্রমিক ক্রমে তথ্য প্রদর্শন করে, সর্বশেষতম পোস্টগুলি প্রথম প্রদর্শিত হয়। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে কোনও লেখক বা এমনকি একদল লেখক একটি পৃথক বিষয়ে তাদের মতামত ভাগ করে নেন।
যাদের বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করার ভালো দক্ষতা রয়েছে তারা অতি সহজেই ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটা ঠিক দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত একটি ডায়েরির মতনই কিছু পার্থক্য হচ্ছে শুধু ব্যক্তিগত জগতের ডায়েরি আপনি না চাইলে কেউ পড়তে পারবেনা। আর অনলাইনে ডাইরিটা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে তাই সেখানে আপনার লেখার মান যদি ভাল হয় ও পাঠককে আকৃষ্ট করতে সমর্থন হয়। তাহলে আপনার ব্লগিং সাইটটি অনেক জনপ্রিয় হবে প্রতিনিয়ত ভিজিটরের সংখ্যা বাড়তে থাকবে আর এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আর যারা ব্লগিং করে তারাই হচ্ছেন ব্লগার। অবশ্য অনেকেই অনেক জনপ্রিয় ব্লগার হয়ে অর্থ আয়ের পাশাপাশি অনেক সুনাম অর্জন করছে। তাহলে আপনি নয় কেন আজ থেকে আপনিও একটি ব্লগ খুলে কিছু উপায় অবলম্বন করে আয় করা শুরু করতে পারবেন। তবে এখানে আয়টা বড় কথা নয়, অনলাইনে আপনার একটা ভাল STRONG প্রোফাইল থাকবে এটাই বড় কথা।
ব্লগিং সাইটে একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় সে সম্পর্কে কিছুটা ধারনা আমি আমার পূর্বের পোস্টে দিয়েছিলাম। এবার জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপায় গুলো করে ব্লগিং থেকে খুব সহজে টাকা আয় করা যাবে।
গুগল এডসেন্স হচ্ছে অনলাইনে বিজ্ঞাপনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। বেশিরভাগ ব্লগাররাই এই মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে তাদের আয়ের সহজ পথ কে সমৃদ্ধ করেছে। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনাকে তাদের বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে প্রকাশের জন্য একটি আবেদন করতে হবে। আপনার আবেদনটি যদি তাদের দ্বারা সংগৃহীত হয় তাহলে তারা আপনাকে মেইলে একটি বিজ্ঞাপনের কোড দিবে। কোডটি আপনার পছন্দমত একটি নির্দিষ্ট জায়গাই বসাতে হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় বসানোর পর একটি নির্দিষ্ট সময় বা দুই ঘন্টার মধ্যে আপনার ব্লগে তাদের দেওয়া ইমেজ অ্যাড, টেক্সট অ্যাড, ভিডিও লিংক গুলো দেখা যাবে। এখন এই অ্যাডগুলো যদি আপনার ভিজিটর দেখে বা ক্লিক করে তাহলে আপনাকে তাড়া অর্থ প্রদান করবে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনার ব্লগ টি যত বেশি জনপ্রিয় হবে, ভিজিটর সংখ্যা যত বেশি হবে আপনার আয় ও ততো বেশি হবে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গুগল এডসেন্স সাধারণত আপনার আবেদনটি গ্রহণ করে তাদের অ্যাড আপনার সাইটে প্রকাশ করবে কিনা সেটি অনেকটাই আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তা ও সঠিক ভিজিটরের সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
অনলাইনে ব্লগিং করে আয়ের, আর একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে একজন ব্লগার ব্লগিং সাইটে আন্তর্জাতিক পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে থাকে। যখন তার দেওয়া লিংকে ভিজিট করে কোন পণ্য কিনা হবে তখনই বিক্রিত পণ্যের ওপর তাকে কমিশন দেওয়া হবে। এর জন্য অবশ্যই একজন ব্লগারকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাইটগুলোতে গিয়ে প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আবেদনটি গৃহীত হলেই আপনি ওই অ্যাকাউন্টে লগইন করে উপযুক্ত পণ্যের লিঙ্ক বাছাই করে নিজ ব্লগে যোগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ভালো আয়ের জন্য নিজের ওয়েবসাইট এর ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্য বাছাই করতে হবে। ভাল আয়ের জন্য অবশ্যই ভিজিটরের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে কারণ ভিজিটর যত বেশি হবে পণ্যের বিক্রয়ের সম্ভাবনা তত বেশি হবে। আর যত বেশি পণ্য বিক্রয় হবে কমিশন তত বেশি হবে। তবে এখানে কী-ওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভিজিটর গুগলে কোন কী-ওয়ার্ড টা বেশি সার্চ করে সেটা আপনাকে জানতে হবে। আর এজন্য অবশ্যই আপনাকে কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টা শিখে নিতে হবে।
📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url